IFRAME SYNC

আল্লাহকে কি God বলে ডাকা যাবে?

“তোমরা তাঁকে ডাক আল্লাহ অথবা রহমান বলে।তোমরা তাঁকে যে নামেই ডাক না কেন সকল সুন্দর নামগুলো তো তাঁরই।”
আপনি মহান স্রষ্টা আল্লাহ সুবহানা ওয়া তা’আলা কে ডাকতে পারেন যে কোন নামে সেটা হতে হবে সঠিক নাম,সেটা হবে বিশুদ্ধ নাম,এমন নাম হবে যেটা তিনি নিজেই দিয়েছেন।পবিত্র কুর’আন এবং সহীহ হাদিসে আল্লাহর নাম উল্লেখ আছে ৯৯ টি।আর সবার উপরে যে নাম সেটি হল “আল্লাহ”। আর এই কথাটা যে সুন্দর নামগুলো আল্লাহর,এটা সূরা ইসরার ১১০ নম্বর আয়াতে উল্লেখ আছে, এছাড়াও সূরা “ত্বহার” ৮ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে,সূরা আ’রাফ এর ১৮০ নম্বর আয়াতে উল্লেখ আছে, সূরা হাশরের ২৪ নম্বর আয়াতে আছে,এখানে আল্লাহ তা’আলা বলেছেন-
“সুন্দর নামগুলো কেবল আল্লাহর জন্যই।”
আর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ নাম আল্লাহ।এখন আমরা মুসলিমরা কেন আল্লাহ তা’আলাকে আরবীতে আল্লাহ বলে ডাকি?কেন ইংরেজি God    বলে ডাকিনা?আসলে এর কারন্টা হচ্ছে অন্যসব নাম আর শব্দগুলোকে আমরা বিকৃত করতে পারি।যেমন-ধরুন ইংরেজিতে God   এর পর একটা s লাগালে হবে Gods। ইশ্বরের বহুবচন। আল্লাহর কোন বহুবচন হয়না।“ক্বুলহু আল্লাহু আহ্বাদ” -বল তিনি আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। যদি  God  এর পর ess  যোগ করেন তাহলে এটা হবে Goddess।    মহিলা ইশ্বর।ইসলামে পুরুষ আল্লাহ বা মহিলা আল্লাহ বলে কিছু নেই।আল্লাহ তা’আলার কোন লিঙ্গ নেই।যদি God   এর পর father   যোগ করেন তাহলে Godfather,      সে আমার অভিভাবক। ইসলাম ধর্মে আল্লাহ আব্বা বা আল্লাহ Father    বলে কিছু নেই।যদি God   এর পর একটা mother     যোগ করেন তবে হবে, Godmother।       ইসলাম ধর্মে আল্লাহ mother বা আল্লাহ আম্মি বলে কিছু নেই।যদি God   এর পূর্বে tin কথাটা লাগান তবে হবে Tin God (Fake God)।ইসলামে Tin Allah  বলে কিছু নেই। এজন্যই আমরা মুসলিমরা আল্লাহকে ডাকি আরবী শব্দ আল্লাহ বলেই। আর এ কারনেই আল্লাহ শব্দটা বেশিরভাগ ধর্ম গ্রন্থগুলোতে দেখতে পাবেন।যদি শিখ ধর্ম গ্রন্থ পড়েন তবে সেখানে মহান সৃষ্টিকর্তার একটা বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে “আল্লাহ”।
সোর্সঃ লেকচার ডাঃ জাকির নায়েক

No comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.